জানাযায়, উপজেলার গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে স্রবেশ মোল্লা ও মোসলেম মাস্টার গ্রæপের বিরোধের জেল ধরে বৃহস্পতিবার খুন হয় আলহাজ (২৮) নামের এক যুবক। এঘটনায় শুকবার রাতে আলহাজের বাবা মানিক বাদী হয়ে মোসলেম মাস্টারকে প্রধান করে প্রায় ৩২ জনকে নামীক আসামী করে মামলা করে। যার নং ০১। খুনের সংবাদের পর থেকেই বিশাল গ্রামটিতে নিরাপত্তœ চাদরে ঢেকে রাখার চেষ্টা করে থানা পুলিশ।
এ ঘটনার পরেই প্রতিপক্ষের অর্ধশত পরিবারের প্রায় দেড়শত পুরুষ সদস্য বাড়ী ছাড়া রয়েছে। বাড়ি ছাড়া কিছু পরিবারের মহিষ,গরু ও দামী আসবাবপত্র পুলিশের সহায়তা আত্বীয়দের বাড়িতে সড়িয়ে নেয়। তবে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার পরও ঘুঘুদহ গ্রামের ছলেমান, পিন্টু, কদ্দুস ও আতিকের বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে লুটের ভয়ে মালামাল নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে আত্বীয় বাড়িতে ছুটতে থাকে নারী সদস্যরা। রাহাদুলের স্ত্রী রাশিদা খাতুন ও সাইদুলের স্ত্রী লাকী খাতুনকে দেখা যায় বাড়ির আসবাবপত্র ভ্যানে করে সরিয়ে নিচ্ছে। তারা এ প্রতিনিধিকে জানান রাতে লুটপাট হবে বলে আমরা জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছি।
অপর দিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে আটক করা ১০ আসামীকে শুক্রবার পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। শুক্রবার বাদ আসর নিহত আলহাজের জানাযা নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সরবেশ গ্রæপের প্রধান সরবেশ লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের কোন সদস্য লুটপাটের সাথে জড়িত নয়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, ঘুঘুদহ গ্রামটি অনেক বড় এবং বিল বেষ্টিত। আমরা ২৫টি গরু উদ্ধার করে আত্বীয় স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছি। পুলিশের কঠোর অবস্থানের পরও যদি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।








