সাঁথিয়া (পাবনা)সংবাদদাতাঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর বাজারে দীর্ঘ দিনের মামলা জনিত বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা ইমারত নির্মানের চেষ্টা। উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের কাশিনাথপুর মৌজার এসএ ৭৮৬ খতিয়ান ভুক্ত জমির আর এস ১৩৬০ খতিয়ানের ১৩৬০ দাগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ শেষে ১০ শতাংশ ভ’মি অবশিষ্ট থাকে। এ ১০ শতাংশ ভূমি নিয়ে বিক্রেতার ওয়ারিশ ও ক্রেতার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ দিন আদালতে মামলায় বিরোধ চলে আসছে।
টাংবাড়ী গ্রামের আঃ গনি প্রামানিকের ছেলে আবু সাইদ জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিগ্রহনের পর ১০ শতাংশ ভূমির মধ্য হতে মালিক আঃ গনি গং ১৯৬৫ সালের দিকে ৬ শতাংশ ভূমি কাশিনাথপুর গ্রামের হাজি আঃ সবুর গংদের নিকট বিক্রি করেন। তাদের নামে নাম খারিজসহ রেকর্ডভূক্ত হয়। আঃ সবুর গংরা ৬ শতাংশ ভূমির মালিক হয়ে পুরো ১০ শতাংশ ভ’মি জবর দখল করে রাখছেন দীর্ঘ দিন। তাদের ৪ শতাংশ ভ’মি ছেড়ে দিতে বললে তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। বর্তমানে মহামান্য হাই কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এ ভূমিতে স্থায়ী নিষেধাক্কা জারি করেছেন আদালত। আবু সাইদ বলেন, আদালতের এ আদেশ অমান্য করে আঃ সবুর মোল্লা বহুতল ভবন নির্মান শুরু করেছেন। তারা কোন বাধাা মানছে না। আবু সাইদ আরো বলেন, আর এস নক্সা অনুযায়ী তাদের নিজস্ব ৪ শতাংশ ভ’মির জন্য আদালতসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক সহায়তা কামনা করছেন।
আলহাজ রফিক মোল্লার ছেলে হাজি আঃ সবুর বলেন, তাদের ক্রয়কৃত ৬ শতাংশ ভূমি ভোগ দখল করছেন। অতিরিক্ত কোন জমি দখল করেন না। উক্ত দাগে সড়ক ও জনপথ অভিগ্রহনের পর ৬ শতাংশ ভ’মি আছে। নিজেদের ক্রয় করা জমিতে ঘর তুলতে গেলে আবু সাইদরা বাধা দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন ভবন নির্মানের রড, সিমেন্টসহ নির্মান সামগ্রী নষ্ট হতে চলছে। তিনি এর প্রতিকার চান।
ভূমি সংক্রান্ত স্থানীয় অভিজ্ঞ কয়েক জন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আর এস নক্সা অনুযায়ী সার্ভেয়ার দ্বারা জমির চৌহদ্দি পরিমাপ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দের সমাধান হবে। ভূমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, আদালত থানাকে অবহতি করলে আইনুনাগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
.jpg)







