জানা যায়, উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা থেকে পিয়াদহ পর্যন্ত রাস্তার শংকরপাশা পাকা রাস্তার মাথা হতে ৯৯০ মিটার পাকা করনের কাজ শুরু করেন একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ রাস্তায় মেহেদী হাসান সবুজের বাড়ীর পাশে পাবনা পল্লী বিদ্যুত সমিতি -২ এর সাব অফিস সাঁথিয়ার আওতায় বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে রাস্তার মাঝে। খুঁটি উত্তোলন না করেই রাস্তা পাকা করন হচ্ছে। খুঁটি উত্তোলন না করায় সড়কে দুর্ঘটনাসহ বিদ্যুতায়িত হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় মেহেদী হাসান সবুজ, ছাব্বির হোসেন, তাসলিমা খাতুন, শারমিন, লতা খাতুনসহ অনেকে জানান তারা একাধিকবার বিদ্যুত অফিসে খুঁটি উত্তোলনের আবেদন দিয়ে প্রতিকার পান নি। তারা বাড়ীসহ রাস্তার দুর্ঘটনায় ভয়ে রয়েছেন।
আবুল হোসেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আঃ খালেক বলেন পল্লী বিদ্যুত অফিসে ৮/১০টি আবেদন দিয়েও খুঁটি উত্তোলন করা যাচ্ছে না। খুঁটি রেখেই রাস্তা পাকা করনের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।
অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তার ভিতরের দিকে খুঁটি পুতে রাখায় প্রায়ই সড়ক নির্মান কাজের সমস্যায় পড়ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এর আগে উপজেলার ধুলাউড়ি সড়কে ও করমজা সড়কে এমন ঘটনায় এলজিইডি’র নির্মান কাজ ব্যাহত হয়।
নন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লা জানান, আগের এজিএম থাকতে আমি নিজে গিয়ে অফিসে তদবির করেও কোন প্রতিকার পাই নাই।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ২ এর সাঁথিয়া অফিসের এজিএম মোঃ শাহেরুল ইসলাম জানান, খুঁটি উত্তোলনের বিষয়ে লিখিত আবেদন পাইনি। আপনাদের মুখে শুনলাম এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, রাস্তার মাঝখানে যদি বৈদ্যুতিক খুটি থাকে তবে বিষয়টি নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের জিএম সাহেবের সাথে কথা বলে খুঁটিটি অপসারণের ব্যবস্থা করবো।








