এলাকাসূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজমুল গ্রæপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল কবির শশির গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এসময় শশি গ্রæপ পিছু হটে বাড়িতে আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষ সেখানে হামলা চালিয়ে নাজির উদ্দিন (৪০)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে সাঁথিয়া হাসপাতালে আনা হলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক নাজির উদ্দিন কে মৃত ঘোষনা করেন। নাজির উদ্দিন দয়রামপুর গ্রামের মৃত ইলবাজের ছেলে। এঘটনায় আরও ৫/৭জন আহত হয়। আহতরা হচ্ছেন নিহত নাজিরের বড়ভাই নাসির(৪২), ছোট ভাই রাজা(৩৬) বোন জেলেনা খাতুন(৪৬), নিহতের আত্মীয় আবুল হোসেনের ছেলে সুমন(৩৫), মাহবুবের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন(৩৫)ও অপর পক্ষের নাজমুল হক(৩০)। সংঘর্ষের সময় ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে । এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকেই ছাত্রলীগ নেতার সাথে বিরোধ চলছিল প্রতিপক্ষের। এদিকে নিহতের স্ত্রী বৈশাখী খাতুন বাদী হয়ে ২৫ মার্চ রাতে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেন। যার নং-২২। এতে নামীও ২৯জনকে আসামী করা হয়। পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে দুই দিনে প্রধান আসামী ইউপি সদস্য তাজমুলসহ ৮জনকে আটক করেছে। আটককৃতদেরকে পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১জন নিহত হয়েছে। এঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা ইতো মধ্যে ৮ আসামীকে আটক করেছি। বাঁকী আসামীদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে।








