১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বৃহস্পতিপুর কবরস্থান মাঠে সবজির জমিতে দাঁড়িয়ে এ বিক্ষোভ করেন ওই মাঠের কৃষক ও স্যালোমেশিন মালিকরা।
জানাযায়, প্রায় ৩০ বছর যাবৎ বৃহস্পতিপুর গ্রামের ফসরের মাঠে বারো মাসই (পটল, বেগুন, পেঁয়াজ, কাকরল,মূলা,ঢেঁড়শ, লাউ, বেনটি, শীমসহ বিভিন্ন) সবজির চাষ করেন স্থানীয় কৃষকরা। বর্তমানে ওই মাঠে সবজির পাশাপাশি ইরি ধানের আবাদ করেছে অনেকেই। ধান কেটে (৮০ বিঘা) সম্পূর্ণ মাঠে নতুন করে সবজির চাষ করবে তারা।
ইতো পূর্বে বৃহস্পতিপুর গ্রামের নিফাজ উদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন উক্ত মাঠে পাওয়ার পাম্প (গভীর নলকুপ) স্থাপন শুরু করে। কৃষকরা এতে বাঁধা দিলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে আসছে নিজাম উদ্দিন।
এদিকে গভীর নলক’প স্থাপন বন্ধের দাবিতে ৭জন শ্যালোমেশিনের মালিক ও কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিএডিসি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছে।
শ্যালো মেশিনের মালিক ওয়াজ উদ্দিন, হয়রত আলী, আকরাম প্রামানিক, আশরাফ আলী ও জয়নাল আবেদীন জানান, স্ক্রীম চালিয়ে ধানসহ বিভিন্ন ফসরের চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। ফিতার মাধ্যমে ধান ও সবজিতে পানি সরবরাহ করে থাকি। এখানে গভীর নলক’প স্থাপন করা হলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়ব। কৃষক রাজ্জাক, আ: খালেক ফরিদ হোসেন, আয়নাল হোসেনসহ অনেকেই জানান এ মাঠে আমরা ধান, পাট, পেয়াজ, রসুন, পটল, বেগুন, লাউ, সিম, ধুনদল, মরিচসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করি। গভীর নলক’প স্থাপন করা হলে শুধু ধানের আবাদ ছাড়া সবজির আবাদ করতে পারব না। এতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকার সবজি থেকে আমরা বঞ্চিত হবো।
সাঁথিয়া উপজেলা বিএডিসি উপসহকারি প্রকৌশলী এলিজা খাতুন জানান, আমরা কৃষকদের আবেদন পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তর তদন্ত পূর্বক জনগণের সুবিধা হয় এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।








