এম এ আলিম রিপনঃ মাঝি-মাল্লাদের ‘মারো টান হেইয়ো,জিতেই যাব হেইয়ো’এসব আওয়াজ আর সহ¯্রাধিক দর্শকের আনন্দ উচ্ছাসের মধ্যে দিয়ে সুজানগর উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়নের মথুরাপুর গাজনার বিলে হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ডিঙি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। স্থানীয় মথুরাপুর পূর্বপাড়া যুব সমাজ ব্যতিক্রমী উৎসব এই ডিঙি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বুধবার বিকালে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার নৌকা বাইচ দেখতে দুপুরের পর থেকেই মথুরাপুর গাজনার বিলের পাদদেশে শিশু,কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ জমায়েত হতে থাকেন। প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে বিলের পাড়ে ঢল নামে হাজারো মানুষের। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া নৌকার খেলোয়াড়রা কখনো একদল আরেক দলকে পিছনে ফেলে আগে উঠে। আবার পিছনে পড়ে। এ সময় বিলের পাড়ে দাঁড়ানো হাজারো দর্শক¯্রােতা তীব্র করতালির মাধ্যমে তাদেরকে উৎসাহ যোগিয়ে যান। প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপী চলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই চুড়ান্ত প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় আয়ুব খানের খান এক্সপ্রেস কে পিছনে ফেলে জামাল কাজীর স্বাধীন বাংলা-২ নৌকাটি প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করে। পরে আয়োজক কমিটির সভাপতি ফৈইমদ্দিনের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ আব্দুল ওহাব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাঁয়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন,উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস আলী বাদশা ও ভাঁয়না ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা মজিবর, ইউপি সদস্য মকছেদ আলী, সমাজ সেবক শাহজাহান আলী,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহবায়ক ফজলুল হক চাঁদু, যুবলীগ নেতা শেখ সেলিম, সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ আলিম রিপন, চাত্রলীগ নেতা লালন, যুব সমাজের পক্ষে মিন্টু শেখ,টুটুল শেখ আলমগীর প্রাং, রফিক শেখ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জহিরুল ইসলাম লিটু ও রবিউল ইসলাম রবি। প্রধান অতিথি সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ আব্দুল ওহাব তার বক্তব্যে বলেন এক সময় গ্রাম বাংলার অন্যতম উৎসব ছিল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। কালের আবর্তে তা হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামীণ ঐতিহ্য সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম ভুলেই যেতে বসেছে।তাই এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বর্তমান প্রজন্ম গ্রামীণ ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারছে। এদিকে নৌকা বাইচ দেখতে আসা একাধিক তরুণ-তরুণী জানান, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখে ভীষণ মজা পেয়েছেন তারা। ঢোলের তালে তালে বৈঠা মারা। হাইও হাইও আওয়াজ করে পানিতে ঝোপাত শব্ধ তুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্যগুলো ছিল অসাধারণ। এক কথায় নৌকা বাইচ দেখে মুগ্ধ উপস্থিত সকলেই।









