৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

সুজানগর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

শেয়ার করুন:

সুজানগর প্রতিনিধিঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার দলিল লেখক সমতির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সমিতির অর্থ আত্মসাতের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমিটির সভাপতি হাজী ইসমাইল সম্পাদক আবু হানিফ, অহাব ও আফছারসহ কয়েকজনের একটি চক্র উত্তোলিত টাকা দলিল লেখকদের মাঝে বন্টন না করে নিজেরা ভাগবাটরা করে আত্মসাত করছে বলে সাধারণ দলিল লেখকদের দাবি।

দলিল লেখকরা  আরও জানান, সাধারণ মানুষকে জীম্মি করে সমিতি দলিল প্রতি ক্রেতাদের নিকট থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। যেখানে সরকারি ফি ৬ হাজার ৫শত টাকা। একটি সূত্র জানান, সুজানগর দলিল লেখক সমিতি জোর পূর্বক দলিল প্রতি টাকা গ্রহণ করে থাকেন। ১ লক্ষ টাকার দলিলে ৪ হাজার। ২ লক্ষ টাকার দলিলে ৬ হাজার ও ৩ লক্ষ টাকার দলিলে ৭ হাজার টাকা। জমি ক্রয়কারীরর নিকট থেকে এ পরিমান টাকা সংগ্রহ করে তা নির্ধারিত সময়ে সকল দলিল লেখকের মধ্যে বন্টন ও অসহায় দলিল লেখকদের সাহায্যের কথা রয়েছে। কিন্তু চক্রটি নিজেদের স্বার্থ হাচিলের জন্য দীর্ঘ এক যুগ হলেও কয়েক কোটি টাকা দলিল লেখকদের মধ্যে বন্টন না করে আত্মসাতের পায়তারা করছে। উপজেলার সকল দলিল লেখকদের মধ্যে সুষমও বন্টনের জন্য সমিতি গঠন করেন দলিল লেখকরা। সেখানে সুষম বন্টনের পরিবর্তে এখন কয়েকজনের বিরুদ্ধে উঠছে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। এতে আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা
নাম প্রকাশ না করার সর্তে এক দলিল লেখক জানান, প্রতি দলিল থেকে সমিতি ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করে থাকে।
সুজানগর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাজী ইসমাইল হোসেন জানান, দলিল লেখক সমিতি আছে কিন্তু তহবিল নাই। তিনি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে টাকা উত্তোলন করা হয় তা প্রতি সপ্তাহে দলিল লেখকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।