সৌদি আরবে গত সপ্তাহে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। এতে দেশটিতে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানয়েছে, গত সপ্তাহে ১৪ হাজার ৩৯ অবৈধ প্রবাসীকে দেশে পাঠানো হয়েছে। বসবাস, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত দেশব্যাপী অভিযানের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, অক্টোবরের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সমন্বয়ে নিরাপত্তা বাহিনী দেশজুড়ে যৌথ অভিযান চালায়। এতে ২২ হাজার ৬১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই সৌদি আইনের বিভিন্ন বিধান লঙ্ঘন করেছেন। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৬৫২ জন আবাসন আইন, চার হাজার ৩৯৪ জন সীমান্ত নিরাপত্তা আইন এবং ৪ হাজার ৫৬৭ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ২৩ হাজার ২১ জনকে ভ্রমণ নথি প্রস্তুতের জন্য নিজ নিজ দেশের দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৯৩৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৯৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ৪৫ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক। এছাড়া ৩৫ জনকে দেশ ত্যাগের চেষ্টা করার সময় এবং ২৩ জনকে অবৈধ প্রবাসীদের পরিবহন, আশ্রয় বা কর্মসংস্থানে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গালফ নিউজ জানিয়েছে, বর্তমানে ৩১ হাজার ৩৭৪ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৮১৪ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৫৬০ জন নারী রয়েছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের আশ্রয়, পরিবহন বা নিয়োগে সহায়তাকারীরা ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ১০ লাখ সৌদি রিয়াল (প্রায় ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা) জরিমানার মুখে পড়তে পারেন। এছাড়া অপরাধে ব্যবহৃত যানবাহন বা সম্পত্তিও জব্দ করা হতে পারে।
মন্ত্রণালয় জনগণকে অবৈধ প্রবাসীদের সম্পর্কে তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে। এর মধ্যে মক্কা, রিয়াদ ও পূর্বাঞ্চলে ৯১১ নম্বরে এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৯৯৯ বা ৯৯৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।







