১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

স্ত্রী-কন্যাকে হত্যার পর মাটিচাপা দেয় যুবক

শেয়ার করুন:

ইছামতিনিউজটুয়েন্টিফোর.কম রিপোর্ট: ‘ধর্ষণ’ মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে সেই কিশোরীকেই গতবছর বিয়ে করেছিলেন বরগুনার এক যুবক। এবার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন স্ত্রী ও নয় মাসের মেয়েকে খুন করে মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির একটি বিশেষ দল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে মো. শাহীন মুন্সী নামের ২১ বছর বয়সী ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
শাহীন মুন্সীর বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের এক গ্রামে। গত ৩ জুলাই বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি চাপা অবস্থায় তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (১৮) ও তাদের ৯ মাসের মেয়ের লাশ পাওয়া যায়।

এরপর শাহীনকে আসামি করে পাথরঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সুমাইয়ার বাবা। ওই ঘটনার পর থেকেই শাহীন ছিলেন লাপাত্তা।
মঙ্গলবার ঢাকায় সিআইডির এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে বলা হয়, গতবছর ‘প্রেম করে সুমাইয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন’ শাহীন। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন সুমাইয়ার বাবা।
সেই মামলায় তিন মাস জেল খেটে ২০২০ সালের জুলাই মাসে জামিনে বেরিয়ে আসেন শাহীন। পরে সুমাইয়াকে তিনি বিয়ে করেন। কিন্তু তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত।
সিআইডির বিশেষ সুপার মুক্তা ধর জানান, গত ৩০ জুন বাপের বাড়িতে বেড়িয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান সুমাইয়া। ২ জুলাই সুমাইয়ার ছোট বোন সেখানে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায়, দুদিন ধরে সুমাইয়ার খোঁজ নেই।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর ৩ জুলাই বাড়ির আঙিনায় মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় সুমাইয়া ও তার মেয়ের লাশ পাওয়া যায়।

শাহীন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা ‘স্বীকার করেছেন’ জানিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা মুক্তা বলেন, “তিনি বলেছেন, কথা কাটাকাটি হওয়ায় বাড়ির পিছনে বরশির নাইলনের সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেন। এরপর বাড়ি এসে মেয়েকে কান্নাকাটি করতে দেখে তাকেও বাড়ির পাশের খালে চুবিয়ে হত্যা করেন। পরে কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যান।”

খুলনা ও খাগড়াছড়িতে দুই বোনোর বাসায় আশ্রয় চেয়ে না পেয়ে শাহীন চট্টগ্রামে গিয়ে থাকা-খাওয়ার বিনিময়ে এক গ্যারেজে কাজ নেন। সেখান থেকেই সোমবার সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে।